রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ কমে আসায় মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আজ শুক্রবার রাজধানীর শুলশানের রেনেসাঁ হোটেলে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের আয়োজন ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ এডুকেশন ফেয়ার উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে পারব। আমরা তো ধারাবাহিক মূল্যায়নে যাচ্ছি।
শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দরকার হলে দেব। ’ চলতি বছরের শুরুর দিকে নতুন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়।
মাধ্যমিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করলেও সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে না তাদের। এসএসসি পরীক্ষার্থী চারটি এবং দশমে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে। এছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একদিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে।
খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের পাঠদান স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময়ে ‘ব্লান্ডেড লার্নিং’ বিষয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যাশনাল পলিসি করছি। এ মাসের ২৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব। তারপর কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা করা হবে। আর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মেডিক্যালে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করে মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষাটা হওয়া উচিত। এ বিষয়ে বিএমডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, আবারও বলব। ’
এর আগে মন্ত্রী ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল পরিদর্শন করেন। স্টলগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্টরা সে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের শিক্ষার্থীরা যদি বাংলাদেশ পড়তে আসে আর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যদি ভারতে পড়তে যায়, তাতে দুই দেশের জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ’
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।